চারাগাছ
ফল খেয়ে মাঠের মধ্যে কেউ বিচি ফেলে গেছে
গজিয়ে উঠেছে চারাগাছ
আমি ওর পাশে গিয়ে বসি
বলি, -নাম কী গো মেয়ে?
মৃদু বাতাস শরীরে নিয়ে চারাগাছ কুটি কুটি হাসে
বলি, -বেলা পড়ে এলো মেয়ে
এই বিরানমাঠের থেকে অনেক দূরে লোকালয়
সন্ধ্যার আগে ঘরে পৌঁছবে কী করে !
২১/১২/২০১৬
রুটির দোকানে
শীতকাল লুকিয়ে রয়েছে রুটির দোকানে
ঘুমিয়ে থাকা সেচনালার গল্প
জাগিয়ে দিলে
গমচাষির রক্ত গড়িয়ে আসে গমগাছ পর্যন্ত
রুটির বাগানে বসে
রুটি আর জল খেতে মনে হল-
জলের গ্লাসের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে মেঘ
২৩/১১/২০১৬
ফুলকপি
নিঃসঙ্গ ফুলদানি। বাগানেও ফুল নেই
সবজিঝুড়ির খোঁজে কিচেনে ঢুকেছি
ফুলদানি জুড়ে রাখি আশ্চর্য কপিফুল
২৩/১১/২০১৬
বাবা
জঙ্গলের পাশে বাড়ি। বাবা হারিয়ে গেছেন
জঙ্গলে
ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে মায়ের মুখ ভারি সংসার
স্কুলপড়ুয়া ছেলেটি
ড্রয়িংখাতায় পেন্সিলে ছবি আঁকে জঙ্গলের
এখনও স্কুলে নাযাওয়া মেয়েটি
ইরেজার ঘষে ঘষে জঙ্গল ফিকে করে
২৭/১১/২০১৬
(চিত্রঋণ : Anatoly Korobkin)
দুর্দান্ত-১,২,৪
ReplyDeleteভালোবাসা, নিশীথ ।
Deleteমুগ্ধতা বাড়ছে প্রতিদিন।
ReplyDeleteভালোবাসা জানাই
Deleteঅসম্ভব ভালো কবিতা। কবি মাসুদারকে ক্রমে ভালোবেসে ফেলছি আরও আরও।
ReplyDeleteকবি যুগান্তর মিত্র, আপনার উপস্থিতি আনন্দের।
Deleteঅসাধারণ। বিশেষ করে 'বাবা' এবং রুটির দোকানে।
ReplyDeleteঅশেষ ধন্যবাদ বন্ধু।
Deleteবাবা আর রুটির দোকানে খুব ভাল
ReplyDeleteধন্যবাদ বন্ধু।
Deleteনিঃসঙ্গ ফুলদানি। বাগানেও ফুল নেই । ফুলে গন্ধ নেই , আহা এতো ভাবতেই পারি না । অসাধারণ মাসুদার ভাই ।
ReplyDeleteধন্যবাদ ভাই। ভালো লাগছে আপনার মন্তব্যে।
Deleteবাবা। অনবদ্য।
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteরুটির দোকান দারুণ লেগেছে
ReplyDeleteশান্তানু, অনেক ভালোবাসা জানাই ।
Deleteজলের গ্লাসে লুকিয়ে থাকে মেঘ... মধুর ব্যাঞ্জনায় মুগ্ধ হলাম।
ReplyDeleteশম্পা, ভালোবাসা অনেক।
Deleteকবিতায় ডুবদিয়ে শীতের বিকেল উলিকট।
ReplyDeleteদারুণ,ধন্যবাদ কবিকে
অমল'দা, অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই।
Deleteবলি নাম কি গো মেয়ে? সুন্দর নিটোল কবিতা ভাই
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteভালোবাসা, দাদা। পড়ে গেলাম। ভাল একটি সিরিজ হতে পারে।
ReplyDeleteভালোবাসা জেনো, তুহিন।
Deleteরুটির দোকানে সুস্বাদু ঘুঘনীও পেলাম বেশ, এই শীতে, গরম গরম, কাঁচা ধোঁয়ায় টের পাচ্ছি এই। আপনিতো অনুভবের মহারাজা, তাই শেষে সেলাম।
ReplyDeleteভালোবাসা, অমিত।
Deleteসুন্দর কবিতা। বিশেষ করে প্রথমটি।খুব সহজেই তাত্ত্বিকতা ভাসিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে কবিতাটি। সুখ। <3
ReplyDeleteধন্যবাদ। আমি আপ্লুত।
Deleteখুব সুন্দর
ReplyDeleteধন্যবাদ, বন্ধু।
Deleteপংক্তিগুলো ইমেজদের অনায়াসে বয়ে নিয়ে গেছে প্রতিটি কবিতায় ।
ReplyDeleteধন্যবাদ, মলয়'দা।
Deleteআমাদের বোধের ভেতর নাড়া দেয় জীবনের অমোঘ সামীপ্য। সহজ অথচ গভীর কী অব্যর্থ টংকার! মিতবাক্ অথচ ব্যাপ্তিময় উপলব্ধির ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়।
ReplyDeleteধন্যবাদ, বন্ধু।
Deleteপ্রথম দুটো লেখা ভীষণ ভালো লাগল। শেষটাও।
ReplyDeleteধন্যবাদ, কবি মিতুল দত্ত।
Deleteসবক'টাই ভালো। প্রথম দুটি দারুণ লাগলো।
ReplyDeleteধন্যবাদ, ভাই ইন্দ্রজিৎ দত্ত।
Deleteঅদ্ভুদ অনুভূতি ছুয়ে গেল। আমার বেড়ে ওঠা গ্রামের মাঠে-ঘাটে-বিলে। কবিতা পড়তে পড়তে শৈশবকে ফিরিয়ে দিলেন কবি
ReplyDeleteধন্যবাদ, মেহেদী।
Deleteদারুণ লাগলো বন্ধু। ইরেজার ঘষে ঘষে জঙ্গল ফিকে করলে মেয়ে বাবা সাইকেলে করে ফেরে,অসামান্য। যেন বার্গম্যান কে দেখছি।
ReplyDeleteভালোবাসা, বন্ধু।
Deleteদারুণ লাগলো বন্ধু। ইরেজার ঘষে ঘষে জঙ্গল ফিকে করলে মেয়ে বাবা সাইকেলে করে ফেরে,অসামান্য। যেন বার্গম্যান কে দেখছি।
ReplyDeleteতুমি পড়েছ, এই আনন্দ আমার।
Delete"বাবা" কবিতাটি একটু বেশি ভালো লেগেছে।
ReplyDeleteধন্যবাদ, হাসান মসফিক।
DeleteSahaj sundar kabita tomar khubi Valo lagar...
ReplyDeleteধন্যবাদ।
DeleteSahaj sundar kabita tomar khubi Valo lagar...
ReplyDeleteধন্যবাদ, দেবযানীদি।
Deleteদারুণ লাগলো
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteচমৎকার,সবগুলোই।
ReplyDeletejangale 3 purush,3 rakom bibarton,tomader haath dhore,Masudaar ,bangla kobita ,nischito,3 bhubhaner serar swikriti pabe
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteঅসম্ভব ভাল লাগলো মাসুদার।দৃশ্যকে অনুসরণ করা,প্রতিলিপিত করা এবং আবেগপেলব করে তোলার বদলে দৃশ্যোত্তর করেছ খুব ঘরোয়া উচ্চারণে। উৎসটি অজানা, পড়ে পাওয়া চকিতঝলক প্রায়, কেউ বীজ ফেলে গেছে যেন, তবু তার ফলে ওঠা আকার তাকে আত্মজা করে তুলতে, বস্তুত আত্মপ্রজননই, তাকে বালিকা ভেবে, এক আসন্ন দূরধিগম্যতার কথা এক সাধারন উৎকণ্ঠিত পিতা হয়ে ওঠা এই গোটা ভাবনাচলনটিই এবং তার প্রক্ষেপন। এবং সেই মেয়েই আরেক গহন রহস্যে স্রেফ ইরেজার হাতে অভিযাত্রী হলে ধীরে ধীরে এক পিতার নির্মাণ হতে থাকে সামান্য সাইকেল আরোহীর ইমেজে। কেয়া বাত মাসুদার, মারহাবা। একটু অন্য কথাও বলি, একজন সামান্য পাঠকের কথা। " শীতকাল লুকিয়ে রয়েছে--- থেকে "গমগাছ পর্যন্ত" পৌঁছে যখন শরীরে শিহরণ হচ্ছে প্রায় তারপরেই "জলের গ্লাসের ভিতর লুকিয়ে রয়েছে মেঘ", এই অবভিয়াস, কেমন যেন দমিয়ে দিল। মনে শেষ লাইনটি কি আগেই ভেবে রেখেছিলেন কবি! আর 'ফুলকপি' কবিতাটি এই গুচ্ছে না রাখলেই ভাল করতে। এই সবই মনে হ'ল মাসুদার, ব্যাস আমারই মনে হওয়া ।
ReplyDeleteধন্যবাদ রঞ্জন'দা। আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া তাড়িত করে। এখানে যা বলে গেলেন, আমার কাজে লাগবে।
Deleteসবই বলা হয়ে গেছে মাসুদার, আমার ভালবাসাটাও বলা থাক।
ReplyDeleteপ্রণাম, বারীন'দা। এই ভালোবাসার আঁচ অনুভবকে জাগিয়ে রাখে। ভালো থাকুন দাদা।
Deleteকবিতাজুড়ে মুগ্ধতা........
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Deleteখুব তন্ময় একটা ভাব। আর ভাষাও খুব সহজ সাবলীল। নির্মেদ। অতিকথন-দোষ নেই । বাহুল্য-ভার নেই। খুব ভালো লাগল সবক'টি কবিতা। সবচে' ভালো লাগল শেষ কবিতাটি। সাবাশ
ReplyDeleteধন্যবাদ।
ReplyDeleteইমেজারির দারুণ প্রয়োগ…সবকটি দারুণ লাগলো
ReplyDeleteধন্যবাদ।
ReplyDeleteasombhob bhalo legeche, baba aar chaaragaach --superb
ReplyDeleteধন্যবাদ।
ReplyDelete