দড়িটা খাটানোই ছিল। দুপাশের গাছপালা মাটি
বাড়িঘর আর আবহাওয়া জলবায়ুও। শুধু পাখিটা এখনই এইমাত্র উড়ে এসে বসল। ছবিটা
শুধুমাত্র পাল্টানোর জন্য পাখির সাথে এসে বসল ওর ডাকটাও। কারও কারও চোখ আটকে গেল।
গাছের ওই ডালটায় চাপ পড়ল। অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ স্থির বাতাসে কাজ শুরু করল। কোথা থেকে
একটা মেয়ে এসেই ছবি তুলে নিল। ছবিটা ও বাঁধাতে দেবে। তারপর আটকে রাখবে ওর বিছানার
পায়ের দিকে। যেন সকালে উঠেই দেখতে পায়। ছিল পাখি, হয়ে গেল ছবি। শিশিরে দোয়াত ফেললে যেমন হয়।
কোনো শব্দ না থাকাটাও শব্দ বলে ধরে নেওয়া যায় কি!যেন হাহাকার, যেন দুর্বিক্ষ। আগাগোড়া একটা রোদ তার প্রতিফলন কোণ পাল্টে দেবে বলে
বেঁকে আপতিত হয়ে গেল। স্ব -ঘ্যামে। ছবি পাল্টানোর এতবড় ইতিহাস ভূগোল দেখেও আমি জল
আনতে গেলাম। মেয়েটা ঘুরে দাঁড়াল, স্থির একটা বিন্দুর
দিকে। গতিশীলতা যেখানে থমকে গেছে। চলন আর গমনের মাঝামাঝি। প্রত্যেক মুহুর্তই যেখানে
ছবির মত, কিন্তু ছবি নয়। খালি পায়ে হেঁটে একটা মানুষ আসছে,
ঠিক ছবিটা পাল্টে দিচ্ছে। ধূলোবালির নাকি গমন নেই! কে বলেছে?
প্রত্যেকটা জড় বস্তুর গমন আছে। নির্ভরতাও। জন্ম-মৃত্যু আছে। শুধু
কোনও চালাকি ছাড়া। ততক্ষন আমার জল আনা হয়ে গেছে। এখন ছবি পাল্টানোর দায় আমার।
যেভাবে ন্যাড়া মাথায় চুল জন্মায়, যেভাবে মেঝের উপর বিছানা
পাতা হয়, শরীরের যেকোন জায়গায় চাপ পড়ে, জল থেকে ঘুড়ি তোলা হয়, মাঞ্জা দিতে দিতে প্রচন্ড রোদে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন
দেখা যায়, গাঢ় ঘুমেও হাত বুকের ওপরেই থাকে অথবা গভীর
শীতের রাতে গরমবোধ হয়। একটু পর আমাদের সামনের দেয়াল হলদে আর পেছনের দেয়াল
অপেক্ষাকৃত কালো হবে। রাস্তাটা সাইকেল আর বাইকে ভরে যাবে। তখন ছবিটা কি পাল্টেছে
বলে মনে হবে না একেবারেই অন্য কোন ছবি! আচ্ছা ছবি কি পাল্টায়, না প্রতিটা ছবিই নতুন!!
(চিত্রঋণ : Rameshwar Broota)
বাক্প্রতিমায় ভরা
ReplyDeleteভালো লেখা
ReplyDeleteপ্রথমার্ধটা দারুন
ReplyDeleteগুরু... আমি তোমার ফ্যন ছিলাম, থাকব।।
ReplyDeleteদুইবারের বেশি পড়বার লেখা, অসহ্য ভালো
ReplyDeleteভালো !
ReplyDeleteছবি পাল্টায় এবং পালটায় বলেই প্রতিটা ছবিই নতুন। সুন্দর খুব।
ReplyDelete