ম্যাডেলিন করিয়েট-এর জন্য প্রেমের কবিতা
খামে-ভরা
তোমার স্মৃতিটুকু ভাসানের জগঝম্প ভিড়ে
জুহুর
সমুদ্রের ঢেউয়ে শেষ চুমু খেয়ে
বিসর্জন
দিয়েলুম ম্যাডি, ম্যাডেলিন করিয়েট
তিরিশ
বছরের বেশি অফিসের কলিগেরা
খামের
ভেতরের স্মৃতি দেখে যা-যা বলেছি ওনাদের
বিশ্বাস
করেছে নির্দ্বিধায়, হা-হা, হা-হা, ম্যাডেলিন--
বাঘিনীর
লোম মনে করে হাতে নিয়ে গালে চেপে
মাথার
ওপরে ভবিষ্যত উন্নত করবে বলে ঠেকিয়েছে
ভেবে
দ্যাখো ম্যাডেলিন, কত্তোজনের সমাদর পেলো
গোলাপি
তুলোট যোনি থেকে সংগ্রহ করা
সোনালি
ঘুঙুরালি বালগুলো, জয় হোক জয় হোক
তোমার
অক্লান্ত প্রেমের, নেশালগ্নে নিশাসঙ্গমের
সিংহের
বাঘের টিকটিকি কুমিরের দৈব-আঙ্গিকে
নারীর বুকের মাঝে ঘুমের ওষুধ
ম্যাডেলিন
বলেছিল
প্রেমিকের শরীরের
সবকিছু মুখস্হ হয়ে গেলে
প্রেমিকের শরীরের
সবকিছু মুখস্হ হয়ে গেলে
অন্য
প্রেমিকের প্রয়োজন হয়
তারপর বুড়ো হলে জীবনের সব মিথ্যা
তারপর বুড়ো হলে জীবনের সব মিথ্যা
সত্য
হয়ে উঁকি মারে বলিরেখা জুড়ে
প্রতিটি যুগের নিজস্ব মিথ্যা হয়
সমস্ত জীবনভর যতো ছায়া মাটিতে ফেলেছ
প্রতিটি যুগের নিজস্ব মিথ্যা হয়
সমস্ত জীবনভর যতো ছায়া মাটিতে ফেলেছ
তাদের
একত্র করে শেষ প্রেমিকার বুকে মাথা গুঁজো
শেষতম নারী
শেষতম নারী
দু'বুকের
মাঝখানে ইনসমনিয়া সারাবার
ব্যবস্হা করবেই
সেখানে ঘুমের জন্মান্ধ উত্তমপুরুষ
কবিতার অদৃশ্য খাতা খুলে
ব্যবস্হা করবেই
সেখানে ঘুমের জন্মান্ধ উত্তমপুরুষ
কবিতার অদৃশ্য খাতা খুলে
কয়েক
শতক বসে আছে
যতোদিন আছি ততোদিন ভালোবেসে যাবো
আরও
কতো কথা বলেছিল ম্যাডি, ম্যাডেলিন
এই
যেমন, "সঙ্গম ও শিশুর জন্ম দেয়া ছাড়া
যোনির
কোনো ধর্ম নেই; প্রেমিক ও সন্তানের
মুখে
গোঁজা ছাড়া মাইয়ের কোনো ধর্ম নেই
ইন
ফ্যাক্ট, দুইটি দেহের মাঝখানে ধর্মের ভূমিকা থাকে না--
দুইটি
দেহের মাঝে অনর্থক ভিসা-পাসপোর্ট শুরু করে
মন্দির
মসজিদ চার্চ সিনাগগ দুর্বোধ্য ভাষা্য লেখা
ধর্মগ্রন্হ
এনে পুরুষেরা প্রেমকে ধ্বংস করেছে
ধর্মকে প্রেমের মাঝে সীমারক্ষক করে
ধর্মকে প্রেমের মাঝে সীমারক্ষক করে
নারীকে
চুবিয়েছে হীনম্মন্যতার রসায়নে
গুহাবাসীদের
জান্তব সমাজে ফেরার পথ আমাদের নেই
তাই
যতোদিন বেনারসে আছি ভালোবাসাবাসি করে যাই"
(চিত্রঋণ : Arkady Plastov)
দারুণ দারুণ। আগুনের মতো হলকা ছড়ানো কবিতা। আবার ভালোলাগার আবেশও ছড়িয়ে দেয়। ঘুমের ওষুধের এমন অব্যর্থ ঠিকানা … অসাধারণ !
ReplyDeleteধন্যবাদ যুগান্তর ।
Deleteউফফহ
ReplyDeleteভালো লাগলো।
ReplyDeleteবাঘেরা শিকার ভোলে না কখনো
ReplyDeleteবেশ ভালো লাগলো।
ReplyDeleteধন্যবাদ দুলাল ।
Deleteঅসাধারণ সুন্দর লাগল আপনার কবিতা তিনটি। আরও পড়তে ইচ্ছে করছিল।
ReplyDeleteধন্যবাদ ।
Deleteম্যাডেলিন ঠিক বলেনি, ম্যাডেলিন বোঝেনি প্রেমের গভীরতা, তাইতো সম্ভব হয়েছে স্মৃতিকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া।
ReplyDeleteভালো লাগলো- এই নবীনতা,জীবনকে কাছ থেকে দেখার অভিব্যেক্তি ।
আমার উপন্যাস অরুপ তোমার এঁটোকাঁটায় পাবে ম্যাডেলিন করিয়েটের সঙ্গে আমার জীবন কাটাবার অভিজ্ঞতা ।
Deleteদ্বিতীয় কবিতাটাকে শতাব্দীর কবিতা বলতে চাই । কেন না সে শতাব্দীর সত্য কথাটা বলেছে ।
ReplyDeleteশিরোনামের ছবিটি কোথায় পেলে ? যাহোক আমি সেভ করে রাখলাম ।
ছবি অনুপম যোগ করেছেন ।
Deleteনারীর যোনির লোম যে কবিতার বিষয় হতে পারে তা আপনি ছাড়া বাংলা আধুনিক কবিতায় ইতোপূর্বে কেউ সাহস করে লিখেছেন কি ? আপনি নিঃসন্দেহে অদ্বিতীয় । আমার পছন্দ সেকেন্ড কবিতাটা । ম্যাডি সম্পূর্ণ সত্য কথা বলেছিলেন আপনাকে । ইনি কি অরুপ তোমার এঁটোকাঁটার বিদেশিনী ?
ReplyDeleteতাই ? আমার মনে হয় এখনকার যুবক-যুবতীরা অনেকেই লিখছেন ।
Deleteআরাম পেলাম দাদা।ধর্মকে প্রেমের মাঝে সীমারক্ষক করে/ নারীকে চুবিয়েছে হীনমন্যত্বার রসায়নে।
ReplyDeleteধন্যবাদ ।
Deletekora kobita. bar bar porte hobe, hajom korr jone.
ReplyDeleteপরের বার পড়ে মতামত জানিও ।
Deleteপ্রেমকে দেহতেই সীমিত করে কবি তুমি কি গান শোনাও আমায়? ধর্মকে শুধু আচারেই বেঁধে রাখো কেন? শব্দ কে ভরসা করে কত দিন বাঁচা যাবে যদি দর্শন তাৎক্ষণিক হয়? বিশ্বাস নয়, অনুভূতি নয়, জ্ঞান চাই। কবে পাব?
ReplyDeleteউত্তর-সত্যের যুগে জ্ঞান পরিহার্য । জ্ঞান ক্ষতিকর । আমাদের ফিরে যেতে হবে জ্ঞানহীন আদিম জীবনে ।
DeleteUpolobdhi na Adesh?
DeleteUpolobdhi na Adesh?
Deleteঅভিজ্ঞতা ।
Delete"সমস্ত জীবনভর যতো ছায়া মাটিতে ফেলেছ
ReplyDeleteতাদের একত্র করে শেষ প্রেমিকার বুকে মাথা গুঁজো
শেষতম নারী ।" - দারুণ দারুণ ! মলয়দার কবিতা সব সময় আমাকে টানে। ভীষণ অন্যরকম । ভালো লাগে।
থ্যাঙ্ক্যু পাপিয়া ।
DeleteValo
ReplyDeleteথ্যাঙ্ক্যু ।
Deleteঅসাধারণ!
ReplyDeleteথ্যাঙ্ক্যু ।
Deleteমডেল
ReplyDeleteশাড়িরগিঁট খুলতে খুলতে তিনি বললেন - ভয় করছে তোর ?
তোর তো এই প্রথমবার ,যদিও আমারও এই প্রথম।
ঘরের ইতিউতি ছড়িয়ে থাকা তার লেখা বইগুলো ফিক্ করে হেসে উঠলো
বুঝলাম- ডাহাঝুট বলছে লোকটা।
শিরশিরে ভালোলাগার পরশ ,মহব্বতে ছুটখাট মানিয়ে যায় এসব।
সাদালোমশ বুকে লেপটে থাকা চামউকুনের মতো বিলি কেটে বললাম-
না না ভয় আর কি !আপনি বিশিষ্ট শিল্পী ,তায় শ্লেষ্মারযাত্রী
তার হাঁ-মুখে সিঙ্গেল মল্ট , দু আঙুলের ফাঁকে গলন্ত 555
বগলে বুড়োঘামের গন্ধ।এসব নাকে নিয়ে ,
তার দৃষ্টির সামনে খানিক ভিক্টোরিয়ার পরীমডেলে দাঁড়িয়ে বললাম-
দেখুন তো এই পজিশনে সুবিধে হবে কি আপনার?
কপাল থেকে রুপালি চুল সরিয়ে কিঞ্চিৎ হেসে
আলতো করে পর্বতচুড়ায় হাত রাখলেন পাড়াতুতো হুলোর মতো
মিহিন লালওড়না পর্বতজোড়ার মধ্যেখানে ফেলে বললেন -
এইবার ভীষণ নিসর্গ নিসর্গ লাগছে না ?
দেখছি একটা বাচ্চাসাইজের ছিপ জলের ওপরে
দাঁড়াচ্ছেই না , অথচ মাছেরচার রয়েছে যথেষ্ট -
ডট পেনের সাথে খাতার সঙ্গম ঘটিয়ে তিনি বললেন-
শুধু দেখেই যেতে হবে তোর অপরূপ রূপ ! বল কি আর করতে পারি তোকে
শোকেসে সাজিয়ে শব্দ সাজানো ছাড়া!
শোন,সিন্ধুসভ্যতার ক্লিভেজ ব্যাপারটা সামনে আনতে চাইনা কিন্তু,
থাক কিছুটা অবস্ট্রাট ,কি বল!
দর্শক তোকে মিস্ট্রিয়াস ভাবুক...
মনে মনে হাসলাম,জানতে চাইলাম,আপনার আগের মডেলরা
অনেক বেশি সুন্দরী ছিলেন,তাদের ছেড়ে আমায় নিয়ে মাতলেন কেন!
বললেন তিনি,তারা ছিল ন্যুডকবিতার মডেল
তোর মতো গ্রিক মিথলজির ছুঁড়ে কেউ আগুনে পুড়িয়ে এভাবে মারতে
চায়নি আমায়।
সোনালী মিত্র
দিয়েছিস বটে মোক্ষম একখানা মন্তব্য, কবিতার মাধ্যমে । ম্যাডেলিন করিয়েটকে শাড়ি পরাবার কথা ভেবে দেখিনি । এবার কলকাতায় গেলে গুরুচণ্ডালী স্টল থেকে আমার উপন্যাস "অরূপ তোমার এঁটোকাঁটা" কিনিস । লাভিউ সোনালী ।
Deleteলাভ উ টু
Deleteকবিতা পড়তে পড়তে বার বার মনে হয়, এই মলয় রায়চৌধুরী লোকটির বয়স কত?
ReplyDeleteকেবল সাতাত্তর ।
Deletebuk chabuk e porlo
ReplyDeleteবেশ কাব্যিক মন্তব্যখানা । চাবুক বুকে পড়ার বদলে চাবুকে বুক ।
Deletedarun sob lekha
ReplyDeleteধন্যবাদ ।
Deleteথ্যাঙ্ক্যু ।
ReplyDelete"ম্যাডেলিন বলেছিল প্রেমিকের শরীরের সবকিছু মুখস্হ হয়ে গেলে অন্য প্রেমিকের প্রয়োজন হয়| তারপর বুড়ো হলে জীবনের সব মিথ্যা, সত্য হয়ে উঁকি মারে বলিরেখা জুড়ে| প্রতিটি যুগের নিজস্ব মিথ্যা হয়" বা,"সঙ্গম ও শিশুর জন্ম দেয়া ছাড়া
ReplyDeleteযোনির কোনো ধর্ম নেই; প্রেমিক ও সন্তানের
মুখে গোঁজা ছাড়া মাইয়ের কোনো ধর্ম নেই
ইন ফ্যাক্ট, দুইটি দেহের মাঝখানে ধর্মের ভূমিকা থাকে না--"...এই রকম কিছু লাইন মন ছুঁয়ে নিল.
"ম্যাডেলিন বলেছিল প্রেমিকের শরীরের সবকিছু মুখস্হ হয়ে গেলে অন্য প্রেমিকের প্রয়োজন হয়| তারপর বুড়ো হলে জীবনের সব মিথ্যা, সত্য হয়ে উঁকি মারে বলিরেখা জুড়ে| প্রতিটি যুগের নিজস্ব মিথ্যা হয়" বা,"সঙ্গম ও শিশুর জন্ম দেয়া ছাড়া
ReplyDeleteযোনির কোনো ধর্ম নেই; প্রেমিক ও সন্তানের
মুখে গোঁজা ছাড়া মাইয়ের কোনো ধর্ম নেই
ইন ফ্যাক্ট, দুইটি দেহের মাঝখানে ধর্মের ভূমিকা থাকে না--"...এই রকম কিছু লাইন মন ছুঁয়ে নিল.
থ্যাঙ্ক্যু ।
Deleteসেকেন্ড লেখাটা...উফ্!!!!
ReplyDeleteথ্যাঙ্ক্যু ।
Deleteকবিতা তিনটি দারুণ । হাংরি জেনারেশনের কথা মনে পড়িয়ে দেয় । আমার ব্লগের জন্য অনুবাদ করব ।
ReplyDeleteকরো । পড়েছি । ভালোই কাজ করছ ।
Deleteআপনার কবিতাগুলো চিরউজ্বল । আধুনিকতার চরম উচ্চারণ । বাক্যগঠন, শব্দবিন্যাস কোন ভাবেই যৌনতাকে দাবিয়ে রাখে না, বরং সাপ্লিমেন্ট করে । পড়তে পড়তে অস্ত্র আরো ধারলো হয়ে ওঠে ।
ReplyDeleteধন্যবাদ পীযুষ । ভালো থেকো ।
ReplyDelete"যতোদিন আছি ততোদিন ভালোবেসে যাবো"-সবচেয়ে বেশি ভালো লাগা দাদা। তিনটে কবিতাই অসাধারণ!
ReplyDeleteধন্যবাদ জহির । ভালো থেকো ।
Deleteআহা, সোনালী ঘুঙুরালী বাল গুলো! আরো কতো কী! অসামান্য সব কবিতা! শ্লেষে আর দ্রোহে জেরবার । আর বরাবরের মতই একদম মলয়কী!
ReplyDeleteধন্যবাদ হাসান । তুমিই সাহস করে মূল আক্রমণটুকু উল্লেখ করলে ।
Deleteসত্যের নির্যাস যেন প্রতিটি কবিতা, সাহসী উচ্চারণে ভরা প্রতিটি শব্দ,প্রতিটি লাইন,প্রতিটি কবিতা। বেশ বেশ ভালো লেগেছে, দাদা
ReplyDeleteধন্যবাদ ।
Deleteভালো লাগলো। চিরন্তন এবং বাস্তব।
ReplyDeleteধন্যবাদ নাজনীন । ভালো থেকো ।
Deleteভালো লাগল খুব, মলয়দা
ReplyDeleteSuch insightful poems !
ReplyDeleteThanks for sharing...
দুর্দান্ত লিখেছেন।
ReplyDeleteএকদম মলয়কী............
ReplyDelete